2007年5月6日日曜日

আকৃতিসর্বস্ব মে দিবস !!

১.
বাংলাদেশে প্রতি বছর মে দিবস পালন হয়;
সরকারী ছুটি থাকে;
অনেক জায়গায় সেমিনারের আয়োজন হয়।
সেমিনারে নামী-দামী লোকজন বাণী দেন।
পত্রিকায় বিশাল বিশাল সম্পাদকীয়/কলাম ছাপা হয়।
রাস্তায় হয়ত মাথায় ব্যানার-ফেস্টুন বেঁধে Rally হয়।
আমরা মহান মে দিবসকে স্মরণ করি, শ্রমিককে মর্যাদা দেই।
গুগল আর্থ দিয়ে নিচে তাকিয়ে ডেখলে মনে হয়, কি চমৎকার!!

২.
জাপানীরা মে দিবস কি জানেওনা।
ছুটি তো দূরের কথা। হয়ত রাজধানীর কোন এক কোণায় ছোট কোন সেমিনার হয়, অথবা হয়না।
পত্রিকা তন্নতন্ন করে ঘাঁটলেও কিছু পাওয়া যাবেনা।
কি অসভ্য জাতি!!

৩.
আমাদের গার্মেন্টস শ্রমিকরা গড়ে কোম্পানীর জন্য বছরে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকার কাজ করে দেন।
তারা বছরে বেতন পান বিশ হাজার!! পঁচিশ হাজার!!
গড়ে বিশ ভাগের একভাগ।
সেমিনার বক্তাদের ঘরে 'সকালে-ঘুম-থেকে-উঠে-রাতে-ঘুমাতে-যাওয়া-পর্যন্ত' ফুলটাইম কাজ করে কাজের মেয়েরা; এরা যে বেতন পায় তার চেয়ে মালিকের আদরের পুত্র/কন্যার খাতার স্টিকার কেনায় বেশী টাকা খরচ হয়।
পত্রিকার অফিসের চা আনা নেয়া করে যে পিওনটা, তার বেতনও তেমন।
Rally শেষে দুইঘন্টা হাঁটা টোকাইটাকে একটা ডালপুরী আর এককাপ চা খাইয়ে বিদেয় করা হয়।

কি আসে যায়, আমরা তো মে দিবস পালন করি।

৪.
জাপানের সব কোম্পানীতেই মোটামুটি এক। যেমন, সনিতে একজন শ্রমিক বছরে দেড় কোটি টাকার সমমানের সার্ভিস দেন।
তার বেতন হয় সব মিলিয়ে ত্রিশ লাখের মতো। পাঁচ ভাগের একভাগ।
তিন বছর কাজ করা শ্রমিক আর এন্ট্রি-লেভেল ইঞ্জিনিয়ারের আয় সমান।
অফিস শেষে পোশাক বদলে দুজন যখন ট্রেনে চাপে, কারও সাধ্য নেই মুখ দেখে বলা, কে শারীরিক শ্রম করে, আর কে মাথার শ্রম করে।

তবু শালারা মে দিবস পালন করেনা।

৫.
শেইপ বা আকৃতিটা যখন মূখ্য হয়ে যায়, তখন গুনগত মানের বালাই থাকেনা।

২০০৭-০৫-০১

0 件のコメント: